মাখন একটি দুগ্ধজাত বা দুধের পণ্য, যা সাধারণ দুধ বা দুধের প্রক্রিয়াজাত দুগ্ধ ক্রীম থেকে তৈরি করা হয়।
মাখন আর ঘি কি একই জিনিস? না, মাখন ও ঘি এর মধ্যে পার্থক্য আছে…
মাখন হলো — দুধের সর জমা করে সেটাকে প্রসেস করে সেটাকে বলা হয় মাখন।
ঘি — মাখন তৈরীর পরে সেটাকে তাপ দিলে, ঘি উৎপন্ন হয়।
মাখনের স্বাস্থ্য উপকারিতা-
১. পুষ্টির ভাণ্ডার মাখন
মাখন তৈরি হয় দুধ থেকে। তাই এই খাবারের যে পুষ্টিগুণ থাকবে, এটা বলাই বাহুল্য। মাখন থেকে মেলে অনেকটা পরিমাণ ক্যালোরি। ফলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি মেটে। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই এবং ক্যালশিয়াম। এই ভিটামিন ও খনিজ শরীর সুস্থ রাখার কাজে অত্যন্ত কার্যকরী। তাই মাখন খেলে দেহের উপকার হয়।
২. ক্যানসারের আশঙ্কা কমায়
মাখনে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। এই বিটা ক্যারোটিন শরীরে প্রবেশ করে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। ফলে নানাবিধ উপকার মেলে। শরীরে এই উপাদানটি পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত থাকলে লাং ও প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কয়েকগুণ কমে। অর্থাৎ ক্য়ানসার প্রতিরোধেও সিদ্ধহস্ত মাখন। তাই এই ধরনের ঘাতক অসুখ থেকে বাঁচতে চাইলে মাখন খান। তবে অল্প পরিমাণে।
৩. চোখ ও ত্বকের জন্য উপকারী
মাখন কিন্তু চোখের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এক্ষেত্রেও রক্ষাকর্তা সেই বিটা ক্যারোটিন। এই উপাদানটি চোখের ম্যাকুলার ডিজেনারেশন আটকায়। ফলে বিভিন্ন ধরনের চোখের অসুখ দূরে থাকতে বাধ্য় হয়। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন ই। এই ভিটামিন ত্বকের জন্য উপকারী। শুধু তাই নয়, ভিটামিন ই সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচায়। এমনকী দ্রুত ক্ষত সারাতেও সাহায্য করে এই খাবার। তাই ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও মাখন খেতে পারেন।
৪. হাড় শক্ত করে
হাড়ের খেয়াল আপনাকে রাখতেই হবে। তবে মুশকিল হল, এখন বয়স ৩০ পেরনোর পরই অনেকের হাড় ক্ষয়ে যেতে থাকে। তখন নানা ধরনের বাতের অসুখ পিছু নেয়। জেনে রাখা ভালো যে, এই সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে মাখন। এতে রয়েছে ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম। এই ভিটামিন ও খনিজ হাড়ের খেয়াল রাখে। এমনকী অস্টিওপোরোসিসের মতো অসুখের প্রকোপ কমায়। তাই পাউরুটিতে মাখন লাগিয়ে খেলে হাড় সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বাড়ে।
মাখন সাধারণত কোন খাবারে মেখে খাওয়া হয়। এছাড়া রান্না করতে যেমন, কিছু ভাঁজতে, সস তৈরিতে অথবা খাবারে বিশেষ সুঘ্রান আনতে মাখন ব্যবহৃত হয়। মাখনে চর্বি, পানি এবং দুগ্ধ প্রটিন থাকে।
মাখনে আছে অত্য়ধিক স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই ফ্যাট রক্তনালীর ভিতরও জমতে পারে। তাই হার্টের অসুখের আশঙ্কা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায় । বিশেষ করে, ডায়াবিটিস, প্রেশার, কোলেস্টেরল থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিত মাখন না খাওয়া উচিত।
তাই সুস্থ থাকতে মাখন খান নিয়মিত তবে পরিমিত। কোথায় পাবেন ভালো কোয়ালিটির মাখন?
কেনাকাটায় পাবেন হোমমেড মাখন।