অ্যাপল সিডার ভিনেগার (Apple Cider Vinegar) কি?
আপেল সিডার ভিনেগার বা সিডার ভিনেগার হলো ভেজানো আপেলের রস থেকে তৈরি ভিনেগার যা গাঁজন বা ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়ায় আপেল সিডার ভিনেগার তৈরি করা। এটি সালাদ তৈরিতে, মেরিনেড করতে, ফুড প্রিজারভেটিভস এবং চাটনিতে ব্যবহৃত হয়।
অ্যাপল সিডার ভিনেগারের (Apple Cider Vinegar) উপকারিতা:
১. ওজন কমাতে BMR বা Basal Metabolic Rate কে বাড়ায়। ফলে দ্রুত ওজন কমে।
২. পেটের জমে থাকা মেদ কমায়,
৩. ত্বক সুন্দর ও ব্রণ কমাতে এটি কাজ করে। Anti aging properties আছে এতে।
৪. চুলকে মজবুত করে ও চুল পড়া বন্ধ করে চুলকে করে চকচকে ও সুন্দর।
৫. পেটের মধ্যে Acidic environment কে Optimised করতে সাহায্য করে।
৬. খালি চোখে যেসব জীবাণু দেখা যায় না, খাবারের মধ্যকার সেইসব জীবাণু ধংসে এটি খুবই জরুরি।
৭. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করে, বিশেষ করে Type-2. ইনসুলিন সেনসিটিভিট অনেক বেশি বাড়ায়, ফলেস্বাভাবিকভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে থাকে।
অ্যাপল সিডার ভিনেগারের (Apple Cider Vinegar) ক্ষতিকর দিক:
* বেশি পরিমাণে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেলে দাঁত, ইসোফেগাস ও স্টমাক লাইনিং এর ক্ষতি হতে পারে। সেইসঙ্গে শরীরের পটাশিয়াম লেভেল কমে যাওয়া, ডায়রিয়া, বদহজম এবং হাড়ের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
* অনেকে সকালে উঠেই খালি পেটে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খান ওজন কমানোর জন্য। কিন্তু তারপর দীর্ঘক্ষণ অভুক্ত থাকেন। যা মোটেও উচিত নয়। ঠিক খাবার খাওয়ার ২০ মিনিট আগে খেতে হবে এটি। তাহলে হজমশক্তিও বাড়বে এবং শরীরও ভালো থাকবে।
* কখনোই অ্যাপেল সিডার ভিনেগার পানির সাথে না মিশিয়ে খাওয়া যাবেনা। হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খান। সেইসঙ্গে মেশাতে পারেন দারুচিনির গুঁড়ো ও লেবুর রস।
* অনেকেই ভাবেন অ্যাপেল সিডার ভিনেগার বেশি খেলেই ওজম দ্রুত কমবে। তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। দিনে একবার ২৫০ মিলি জলে ১-২ টেবিল চামচ এটি মিশিয়ে নিন খান। একটানা দু'মাস খেলে ১৫ দিন বন্ধ রাখুন।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার মূলত সালাদ তৈরিতে, মেরিনেড করতে, ফুড প্রিজারভেটিভস এবং চাটনিতে ব্যবহৃত হয়।
এছাড়াও এটি বহুগুন সম্পন্ন হওয়ায় এটিকে অনেক পানির সাথে মিশিয়েও পান করেন।