মিষ্টি কুমড়া তো আমরা অনেকেই খাই। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি উপকারী। এগুলো জেনেই রাখা হয় খাদ্য তালিকায়। শুধু কুমড়াই নয়, এর বীজও কিন্তু খুবই উপকারী! কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, প্রোটিন, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, ফসফরাসের মতো একাধিক উপাদান।
শুধু স্বাস্থ্যেরই উপকার করে না রূপচর্চাতেও কুমড়ার বীজ অত্যন্ত কার্যকরী! এ রকম বেশ কয়েকটি আশ্চর্য গুণ রয়েছে কুমড়ার বীজে। তা এবার জেনে নেওয়া যাক –
১. মিষ্টি কুমড়া বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক আর ম্যাগনেসিয়াম যা অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের যাবতীয় সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে।
২. এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক, ফাইটোকেমিক্যাল যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
৩. মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে ট্রিপ্টোফ্যান নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড যা সুখানুভূতি সৃষ্টিকারী হরমোনের নিঃসরণে সহায়তা করে এবং একই সঙ্গে মেলাটোনিন আর সেরোটোনিন নিঃসৃত হতে সহায়তা করে যা অবসাদ কাটিয়ে শরীর, মন তরতাজা করে তুলতে সাহায্য করে।
৪. এর বীজে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, সালফার, জিংক, ভিটামিন এ, বি আর ভিটামিন-কে যা চুল ও মাথার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এই উপাদানগুলো চুল উজ্জ্বল ও ঘন করতে সাহায্য করে।
৫. প্রচুর পরিমাণে এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে কুমড়ার বীজে। যা শরীরে সিবাম নামক তেলের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৬. মিষ্টি কুমড়ার বীজে থাকা সেরোটোনিন নামের রাসায়নিক উপাদান, যা স্নায়ুতন্ত্রের চাপ কমিয়ে অনিদ্রার সমস্যা কাটাতে সাহায্য করে।
৭. মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে ডাই-হাইড্রো এপি-অ্যান্ড্রোস্টেনেডিয়ন। যা পুরুষের প্রোস্টেটের সমস্যা প্রতিরোধ করে এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।
৮. রক্তের ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে মিষ্টি কুমড়ার বীজ। তাছাড়া মিষ্টি কুমড়ার বীজে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে।