আলকুশি একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এটি থেকে শিমের বীচির ন্যায় বীচি তৈরি হয়। আর সেটিকেই শুকিয়ে গুড়ো করে তৈরি করা হয় আলকুশি বীজ গুড়া।
আলকুশি গুড়ার উপকারিতা
১) শারীরিক সক্ষমতা বাড়ায় আলকুশি গুড়া।
২) এর শিকড়ের রস এক চামচ করে একমাস খেলে আমাশয় রোগ সারে।
৩) আলকুশির পাতার রস ফোঁড়ায় দিলে অচিরেই সেটি ফেটে যায়।
৪) এর বীজ চিনি ও দুধসহ সেদ্ধ করে খেলে বাত রোগের উপশম হয়, শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়, শুক্র বৃদ্ধি ও গাঢ় হয় এবং স্নায়বিক দুর্বলতা দূর করে।
৫) এর শিকড়ের রসে জ্বর, সর্দি-কাশি ভালো করে।
৬) আলকুশির শিকড়ের মণ্ডু মূত্রবর্ধক ও মূত্রযন্ত্রের রোগ নিরাময়ে বেশ উপকার।
৭) এর কাণ্ডের রস চোখের রোগের ক্ষেত্রেও ফলপ্রসূ।
৮) শিকড়ের রস জীবজন্তুর গায়ের ঘায়ে লাগালে ক্ষত দ্রুত সরে যায়।
৯) কোন পোকা মাকড়ের কামড়ে বা বিছের দংশনে আলকুশীর বীজের গুড়া লাগালে অনেক যন্ত্রণা কমে যায়।
আলকুশী গুড়া খাবার নিয়ম
সকালে/রাতে খাবার পর এক গ্লাস হালকা গরম দুধ অথবা পানির সাথে এক চামচ আলকুশী মিলিয়ে খাওয়া যায়।
আলকুশি গুড়ার খাবার অপকারিতা
যাদের সাইকোসিস, নিউরোপ্যাথি, অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের চিকিৎসা চলছে তাদের আলকুশি বীজ খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। গর্ভাবস্থায় এই আলকুশি খাওয়া নিরাপদ নাও হতে পারে। আলকুশি বীজে জরায়ু উদ্দীপক প্রভাব থাকে, যার ফলে জরায়ু ফেটে গিয়ে রক্তপাত হতে পারে। এছাড়াও, এটি ভ্রুণের ক্ষতি করতে পারে। ফলস্বরূপ, এটি জন্মগত বিভিন্ন ত্রুটির কারণ হতে পারে। তাই গর্ভবতী মহিলা এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের আলকুশি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
লিভারের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও আলকুশি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আলকুশির মধ্যে থাকা লেভোডোপা সিরাম লিভারের রোগকে আরও প্রভাবিত করতে পারে।
অতিরিক্ত আলকুশি সেবনের ফলে উচ্চ মাত্রার এল-ডোপা হতে পারে। ফলস্বরূপ, হ্যালুসিনেশন, বিভ্রান্তি এবং সিজোফ্রেনিয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।
আলকুশি বীজে ট্যানিন, ফেনল ইত্যাদি রয়েছে। তাই খাওয়ার আগে আপনার এটি ভালোভাবে শোধন করা উচিত।
কোথায় পাবেন দুধে শোধনকৃত ভালোমানের আলকুশি বীজের গুড়া?
কেনাকাটায় পাবেন ফ্রেশ মানের আলকুশি বীজের গুড়া।