খাঁটি দুধকে অনেক পরিমাণে জাল দিয়ে সেটিতে প্রয়োজনমতো চিনি মিশিয়ে এক ঘন মিশ্রন তৈরি করা হয়। যাকে রেখে ঠান্ডা করলেই দই তৈরি হয়।
দইয়ের গুনাগুন:
১। দই ল্যাক্টোব্যাসিলাস ভাল ব্যাক্টেরিয়াকে উদ্দীপিত করে। তাই অ্যান্টিবায়োটিক খেলে ডায়েটে দই রাখুন।
২। দই খেলে পেট পরিষ্কার থাকে।
৩। দই ক্যালসিয়াম কোলনের কোষগুলো অস্বাভাবিক বৃদ্ধি রোধ করে, অন্ত্রেও উপকারি ব্যাক্টেরিয়া নিঃসরণ করে। কোলাইটিস রোগে দই ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
৪। দই ব্যাক্টেরিয়া শরীরে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স অ্যাবজর্ব করতে সাহায্য করে।
৫। ভিটামিন বি-১২ রক্তকোষের গঠনে সাহায্য করে। দই এই ভিটামিন তৈরিতে সাহায্য করে।
৬। যারা আমিষ খান তারা খাবারের মাধ্যমে সহজেই এই ভিটামিন পান । নিরামিষভোজিরা দইয়ের মাধ্যমে এই ভিটামিন পেতে পারেন।
৭। দইতে আছে প্রাণিজ প্রোটিন মানে প্রথম শ্রেণীর প্রোটিন। দই তে পাওয়া যায় অত্যাবশক অ্যামিনো অ্যাসিড। দুধের প্রোটিন থেকে দইয়ের প্রোটিন সহজে হজম হয়। খাওয়ার ১ঘণ্টা পর দুধের মাত্র ৩২% যেখানে হজম হয়, সেখানে দইয়ের ৯০% হজম হয়।
৮। তাই গরমে বাচ্চা ও বয়স্কদের জন্য দই উপযোগি।
৯। দই রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
১০। হাইড্রোলিক অ্যাসিড, পেপসিন ও রেনিন নিঃসরন করে দই পেটের গ্যাস কমায়।
১১। ডায়রিয়া ও কনস্টিপেশনের সমস্যা কমায়।
দই হলো একটি পারফেক্ট ডেসার্ট। এটি চাইলে যেকোনো সময় খাওয়া যায়।
কোনোকিছুই অতিরিক্ত অতিমাত্রায় খাওয়া উচিত নয়। আর দই যেহেতু একটি দুগ্ধ্যজাত পন্য তাই প্রয়োজন মাফিক খাওয়ার সাজেশান থাকবে।
দই তো যেকেউ বানাতে পারেন বা যেকোথাও থেকে আনা যেতে পারে। কিন্তু আমরা সরাসরি বাংলাদেশখ্যাত বগুড়ার দই সরাসরি নিজেরা নিয়ে আসি। এই দইয়ের যে ঘ্রাণ, তা একবার মুখে দিলেই এটার ফ্রেশনেস ও স্বাদ বোঝা যাবে। সুদূর বগুড়া থেকে দক্ষ কারিগর দিয়ে আমরা বানিয়ে নিয়ে আসি শুধুমাত্র আপনাদের জন্য। তাই মিষ্টির ক্রেভ মেটাতে আজিই অর্ডার করুন।