হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট (Pink Himalayan salt) এমনই একটি নুন যা সারা পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। এই হিমালয়ের গোলাপি নুন পাকিস্তান ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে পাওয়া যায়। কোথাও কোথাও এই নুন হাতে তৈরি করা হয়। মিনারেলের কারণেই নুনের গায়ে চমৎকার রং ধরে।
পিঙ্ক সল্টের উপকারিতা-
* অনিদ্রা দূর করে- আপনি যদি অনিদ্রার শিকার হন, তাহলে গোলাপি নুন অর্থাৎ ডায়েটে রক সল্ট আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মধুর সঙ্গে হিমালয়ের গোলাপি নুন খেলে অনিদ্রার সমস্যা চলে যায়। এই মিশ্রণটি সেবনের মাধ্যমে আপনি গভীর ঘুম পাবেন, যা পরের দিনও মানসিক চাপ দূরে রাখবে।
* শুধু খাবারেই নয়, এই নুন প্রসাধনী হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি স্ক্রাব হিসেবেও নুন ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার মুখের ছিদ্র খুলে যাবে। স্ক্রাব তৈরির জন্য নারকেল তেলের সঙ্গে গোলাপি লবণ ব্যবহার করতে পারেন।
* মাথাব্যথা হলে- যদি আপনার প্রায়ই মাথাব্যথার সমস্যা থাকে, তাহলে এই লবণ আপনার জন্য ওষুধের কাজ করবে, এর জন্য আপনাকে এক গ্লাস জলে লেবুর রস দিয়ে গোলাপি লবণ ব্যবহার করতে হবে। এই পানীয়টি পান করলে আপনার মাথাব্যথা তাত্ক্ষণিকভাবে চলে যাবে। প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালিপেটে জার থেকে এক চামচ জল নিয়ে তা এক গ্লাস পরিষ্কার জলে মেশান। এই জল SOLE (সোলে) নামে পরিচিত। এক উপকারিতা জানলে অবাক হতে হয়।
* গোলাপি লবণ চুলের স্ক্রাব হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি যদি শ্যাম্পুর সঙ্গে এই নুন মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার চুলের খুশকি এবং ভিতরে জমে থাকা আর্দ্রতাও চলে যাবে।
* শরীরের বিভিন্ন উপকার করে এই পিঙ্ক সল্ট-
১। শরীরে বিভিন্ন জয়েন্ট বা গাঁট-কে সুস্থ রাখে।
২। হাঁড় ভালো রাখে।
৩। ঘুম ভালো হয়।
৪। হজমশক্তি বাড়ে।
৫। যৌন ক্ষমতা বাড়ায়।
৬। মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
৭। বলিরেখা কমায়।
৮। শরীর থেকে টক্সিন বার করে।
৯। এনার্জিতে ভরপুর রাখে।
১০ ডায়াবিটিস এর ক্ষেত্রেও এর অপরিহার্য তা অনেকটাই। এই সল্ট আমাদের শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ডায়াবিটিস হওয়ার ভয় অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
১১। এই সল্ট আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে। পরিমাণমতো জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এর মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
জল ও নুন- শরীরের ক্ষেত্রে ভীষণ উপকারী দুটো বস্তু। কিন্তু কাঁচা নুন বা সাদা নুন বেশি পরিমাণে খেতে বারণ করে ডাক্তাররা। কারণ এতে ঝুঁকি থাকে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার। আবার শরীরে নুনের পরিমাণ কমে গেলে, সেখানেও অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।
হিমালয়ের পাদদেশের কাছে পাকিস্তানের অঞ্চলে এই লবণ পাওয়া যায়। এই লবণ কম পরিশোধিত হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, এতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নেই। এটি একটি প্রাকৃতিক লবণ। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নগণ্য।
কোথায় পাবেন এই হিমালয়ের পিঙ্ক সল্ট? তবে কি এবার যাওয়া লাগবে হিমালয়ে পিঙ্ক সল্ট আনতে? চিন্তায় পড়ে গেলেন বুঝি?
চিন্তার কোনো কারণ নেই। কারন এখন কেনাকাটাতেই পাবেন পিঙ্ক সল্ট।