হাতে ভাজা মুড়ি ধান থেকে তৈরি একধরনের স্ফীত খাবার বা ভাজা চাল, যা সাধারণত প্রাতরাশ বা জলখাবারে খাওয়া হয়। এটি ভারত ও বাংলাদেশে জনপ্রিয় খাবার হিসেবে পরিচিত। চালের অন্তর্বীজ গরম করে বাষ্প উপস্থিতিতে উচ্চ চাপের সাহায্যে মুড়ি তৈরি করা হয়। মাটির হাড়িতে বালু গরম করে সেগুলোতে যেই মুড়ি উচ্চ চাপে ভাজা হয় সেগুলোকে বলে হাতে ভাজা মুড়ি।
মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা (Benefits of eating puffed rice)
মুড়ি অ্যাসিডটি রোধ করে, এটা আমরা সকলেই জানি। শরীরে যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, যাদের অ্যাসিডিটি হয়, তাদের ক্ষেত্রে মুড়ি খুবই উপকারী। তাই নিয়মিত মুড়ি খেলে অ্যাসিডিটি কমবে।
পেটের সমস্যায় শুকনো মুড়ি কিংবা ভেজা মুড়ি খেলে তাৎক্ষণিক উপকার পাওয়া যায়। মুড়িতে ভিটামিন বি ও প্রচুর পরিমাণে মিনারেল থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
মুড়ি চিবিয়ে খেতে হয়। এর ফলে দাঁত ও মাড়ির একটা ব্যায়াম হয়। নিয়মিত মুড়ি খেলে দাঁত ও মাড়ি ভাল থাকে। কারণ, মুড়িতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফাইবার, যা হাড় শক্ত করে। এছাড়া মুড়িতে রয়েছে শর্করা, যা প্রতিদিনের কাজে শক্তি যোগান দেয়।
কম ক্যালরির খাবার খাবেন, আবার পেটও ভরবে, যদি এমনই আপনার ইচ্ছা হয় তাহলে মুড়ি খেতে পারেন। সারাদিন বাড়িতে, অফিসে যখনই হাল্কা ক্ষুধা পাবে, তখন মুড়ি খেয়ে নিলে ক্ষুধা মিটবে, ক্ষতিও হবে না।
যাদের পেটের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে মুড়ি বিশেষ উপকারি। এছাড়া মুড়িতে সোডিয়ামের পরিমাণ অত্যন্ত কম থাকে। যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তারা মুড়ি খেতে পারেন।
মুড়ি কি ওজন কমাতে সাহায্য করে?
প্রতিদিন খাবারের তালিকায় মুড়ি থাকলে তাতে থাকা ক্যালশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন ডি, পটাশিয়াম এবং আরও অন্যান্য উপকারী উপাদান হাড় মজবুত রাখে এবং হাড়ের নানা সমস্যা দূর করে। ওজন কমানোর জন্যও উপকারী মুড়ি। এতে থাকা ফাইবার এবং উপকারী উপাদান মেদ জমতে দেয় না।
মুড়ি বিভিন্নভাবে খাওয়া হয়। কেওবা মুড়ি-চানাচুর মেখে মুখরোচক খাবার হিসেবে খান, কেও এম্নিতেই চিবিয়ে খান, কেওবা নাড়ুযোগে মুড়ি খান, কেও দুধ চিনির সিরা করে তার সাথে মুড়ি খান। একেকজনের রুচিভেদে যে যার ইচ্চা মতো মুড়ি খেয়ে থাকেন।
মুড়ি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে পারে। তাই অনেকেই মুড়ি এড়িয়ে চলেন। তবে মুড়ির গুণও নেহাত কম নয়। রোজ মুড়ি খেলে ক্ষতির চেয়ে লাভের সম্ভাবনাই বেশি।
বাজারের স্বাভাবিক মুড়ির চাইতে হাতে ভাজা মুড়ি খাওয়া উত্তম। কারন হাতে ভাজা মুড়ি বাজারের মুড়ির চাইতে বেশি মজার। এবং বাজারে যেই মুড়ি পাওয়া যায়, সেগুলো মূলত মেশিনে ভাজা। সেগুলো যেহেতু বানিজ্যিক উদ্দ্যেশে করা হয় তাই সেগুলোতে বেশ কিছু উপকরন বা প্রলেপ দিয়ে সেগুলোকে ধবধবে সাদা করা হয়। কিন্তু হাতে ভাজা মুড়ি লালচে হয়। এতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। তাই ভালো খান সুস্থ থাকুন।
কোথায় পাবেন হাতে ভাজা মুড়ি?
কেনাকাটায় পাবেন হাতে ভাজা মুড়ি।